ভাগ্য উন্নয়নের গল্প ২

মোছা: তানিয়া আক্তার

দাপুনিয়া -৩ শাখা

আমি মোছা: তানিয়া আক্তার, আসপাডা পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর দাপুনিয়া -৩ শাখার অন্তর্গত চৈতী মহিলা সমিতির একজন নিয়মিত সদস্য। আমার পরিচিতি কোড হল- ০২৭-০৩৭-০৪৩। আমার স্বামী একসময় বেকার ছিল। সে কোন কাজকর্ম করত না, তার কোন রোজগার ছিল না। সংসারের ব্যায় বহন করা কঠিন ছিল। এক সময় সে দিন মুজুরের কাজ শুরু করে। নিয়মিত কাজ না থাকায় সংসারে অভাব লেগেই থাকত। আমার প্রথম সন্তান জন্ম নেওয়ার পর আমাদের অবস্থা আরো করুন হতে থাকে। নুন আনতে পানতা ফুরায় অবস্থা। কোন উপায় না পেয়ে, আসপাডা সমিতি থেকে প্রথমে দশ হাজার টাকা ঋণ গ্রহন করি। এই টাকা দিযে একটি টং দোকান ক্রয় করি, তাতে আমার স্বামী চা পানের ব্যাবসা শুরু করে। প্রথম ঋণ পেিশাধের পর পুনরায় বিশ হাজার টাকা ঋন হিসাবে গ্রহন করি। এই টাকা দিয়ে আমার স্বামীর টং দোকানে মনোহারী মালামাল তুলি। যার ফলে দোকানে বেচাকেনাও বেড়ে যায়। এভাবে দোকানে বেচাকেনা বাড়তে থাকে, দোকানে মালামালের পরিমান বাড়তে থাকে। এরপর পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা ঋণ গ্রহন করে আমাদের থাকার ভাঙ্গা ঘরটাকে বদল করে, পিরপাকা বড় টিনের ঘর তৈরীর কাজ শুরু করি। ক্রমন্বয়ে আমাদের দোকান সম্প্রসারিত করে, বড় মনোহারী দোকান হিসাবে দাঁড় করাই। কিস্থি পরিশোধ করে ক্রমন¦য়ে পয়তাল্লিশ হাজার, পঞ্চাশ হাজার, সত্তর হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ গ্রহন করি এবং বাজারে আরো দুটি ঘর রাখি। এর পর বাজারে একটি রেডিমেট র্ফানিচারের দোকান করার পরিকল্পনা গ্রহন করি, এবং ঋণের টাকা দিয়ে ফার্নিচারের দোকানে মালামাল তুলি। বর্তমানে আমি অনেক স্বচ্ছল, সমাজে মাথা উচু করে বাঁচতে পারি। আমার যেখারেন তিন বেলা খাবারের ব্যাবস্থা করা কঠিন হত, এখন সেই আমিই দোকানে তিন জন কর্মচারীর বেতন দেই। আমার এই উন্নতির পথের একমাত্র সহযাত্রী আসপাডা সংস্থা। আসপাডা আমার সাথে না থাকলে আমি এতদূর আসতে পারতাম না। আমি আসপাডা সংস্থার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।